নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দুলালকে ভাই, বোনের জামাই, ভাগিনা ও নেতাকর্মীদের নিয়ে পাটালেন জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন। জাহাঙ্গীর হোসেন সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিন্নাহ’র বড় ভাই।
আজ শুক্রবার সকালে তারা সনমান্দি ডিপলেস ওয়্যারস লি: কোম্পানীর ভেতরে প্রবেশ করে দুলালকে পেটান। সে পিটানোর ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা যায়, জাহাঙ্গীরের বড় ভাই জামাল হোসেন দ্রুত গতিতে এসে দুলালকে চরথাপড় মারতে থাকেন। সাথে তার বোনের জামাই খোরশেদ, খোরশেদের ছেলে জাহাঙ্গীরের ভাগিনা মামুন দুলালকে এলোপাতালি কিলঘুসি লাথি মারতে মারতে দেয়ালের সাথে মাথা লাগিয়ে ঠুকতে থাকেন। তাদের মারধরের কারণে দুলালের হাতে থাকা মোবাইল ছিটকে পড়ে যায়। এসময় দুলাল তাদের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন সেখানেও তারা তাকে মারতে থাকেন।
আহত দুলাল জানান, ডিপলেস ওয়্যালস লিং কোম্পানীর মালিক হাবিবুর রহমান কোম্পানীটি কেনার পর থেকে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীরের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিচার শালিশ মিমাংশা হয়। দুলাল জানান, তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি অসুস্থ বিধায় ভারী কোন কাজকর্ম করতে পারেন না। সে জন্য এক নেতার তবদিরে ওই কোম্পানীতে দেখাশোনার কাজ করেন।সেই সুত্র ধরে তিনি আজ সকালে কোম্পানীতে যান। এসময় জাহাঙ্গীরের সাথে থাকা জসিম তাকে দেখা মাত্র জাহাঙ্গীরকে জানান। এসময় জাহাঙ্গীরের ভাই জামাল গাড়িতে উঠতে গিয়ে ফের নেমে এসে তাকে মারতে শুরু করেন। তার সাথে জাহাঙ্গীর তার বোনের জামাই খোরশেদ ভাগিনা মামুন মারতে শুরু করেন। দুলাল জানান, আমি জাহাঙ্গীরের এলাকার লোক। তার সাথে কোম্পানীর দ্বন্ধ কিন্তু আমি তো কোম্পানীর কর্মচারী তারা কেন আমাকে মারলো। থানা নেতাদের কাছে এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা মানিক বলেন, যদিও আমাদের কমিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে তারপরও বলবো একজন আওয়ামীগের কর্মীকে অপর আওয়ামীলীগ নেতা মারধরের বিষয়টি ঠিক হয়নি।।